ফিরোজ আহমেদ, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ডিলারদের বরাদ্দকৃত রাসায়নিক সার উত্তোলন এবং কৃষকেরা যেন সঠিক দামে সার পায় এই জন্য কঠোরভাবে তদারকি করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা। চলতি রোপা আমন মৌসুমে যেন কোনভাবেই সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম যেন না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলায় বিসিআইসির ১২ জন এবং বিএডিসির ১৭ জন রাসায়নিক সার ডিলার রয়েছেন। তাছাড়া উপজেলায় মোট ৭২ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়মিত সার বিক্রি করে আসছেন। প্রতি কেজি সারের বিক্রি দাম ইউরিয়া ২২ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।চলতি সেপ্টেম্বর মাসে তাড়াশে রাসায়নিক সার বরাদ্দের পরিমাণ ইউরিয়া ৫৮৯ মেট্রিকটন, টিএসপি ৯০ মেট্রিকটন, ডিএপি ২১৪ মেট্রিকটন ও এমওপি ১১৯ মেট্রিকটন পাওয়া গেছে। রাসায়নিক সারের কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের এমন তদারকিতে অনেকটা খুশি কৃষকেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, তাড়াশ উপজেলায় সব ধরণের রাসায়নিক সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। কোনো প্রকার সংকট নেই। ডিলারদের বরাদ্দকৃত সার সঠিক পরিমাণ উত্তোলন এবং বিক্রি ব্যবস্থা আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি । এ ছাড়া কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করে রশিদ দেয়া হচ্ছে। সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।